একজন ভারতীয় বছরে গড়ে ১৯ কিলো চিনি খান!

Spread the love

দুবেলাঃ ওবেসিটি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ইস্যুতে চিনি খাওয়া কমানোর কথা বলেন চিকিৎসকরা। অথচ চিনি উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ভারত চাইছে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে চিনি খাওয়াতে! কিন্তু কেন? চিনিতে উচ্চ উৎপাদন ব্যয় করে বিশ্ববাজারে ভর্তুকি ছাড়া তা রফতানি করা বেশ সমস্যার এবং অলাভজনকও বটে। তাই চিনির দেশীয় চাহিদা বৃদ্ধি করতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে চিনি কলগুলি।বিদেশে চিনির রফতানি কমিয়ে দেশের মানুষকে বেশি করে মিষ্টি খাওয়াতে সুগার মিলগুলো সাহায্য নিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেনের। সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়ার্কশপে পুষ্টিবিদ, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের দিয়ে চিনি খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরছে তারা।

ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মত, মানব শরীরে জ্বালানির প্রধান উৎস হল চিনি। মস্তিষ্কের শক্তি, পেশি শক্তি থেকে দেহকোষের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য পছন্দের জিনিস হল শর্করা। এর সঙ্গে ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের যোগ, অন্যান্য খাদ্যবস্তুর মতো চিনিতেও প্রায় সমান ক্যালোরি থাকে। কিন্তু সেই ক্যালোরি পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহার না হলেই ওবেসিটি বা স্থুলতার মতো অসুখ ঘিরে ধরে।

Different sugar on dark table

ভারতীয়রা গড়ে কতটা চিনি খান? দেশে চিনি বিক্রি বাড়ানোর সুফলই বা কী?

সমীক্ষা বলছে, একজন ভারতীয় বছরে গড়ে চিনি খান ১৯ কিলোগ্রাম। সারা বিশ্বে এই গড় ২৩ কিলোগ্রাম। একটি সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বের তুলনায় ভারতে মাথাপিছু চিনির খরচ অনেক কম।

তাই ভারতীয়দের মধ্যে বছরে গড় চিনি খাওয়া বৃদ্ধি পেলে দেশীয় চাহিদা বছরে ৫.২ মিলিয়ন টনে পৌঁছে যাবে বলে দ্য ইকনমিক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রকের অন্যতম শীর্ষ আমলা সুধাংশু পাণ্ডে। তিনি যোগ করেন, এর ফলে উদ্বৃত্ত হ্রাস পাবে, বিদেশে চিনির রফতানি কমানো যাবে এবং সরকারি সাশ্রয় বাড়বে।

প্রসঙ্গত, চিনি উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ ভারত ২০১৯-২০ সালে ৫.৬৫ মিলিয়ন টন চিনি রফতানি করেছে। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে প্রায় ১৩ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধির পর ৬ মিলিয়ন টন রফতানি করার ব্যাপারে পদক্ষেপ করছে চিনি মিলগুলি। এর মধ্যেই চলছে চিনির ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ভারতীয়দের উৎসাহ প্রদানের কাজও।

Related posts

Leave a Comment