ইডির দরবারে হাজির অভিনেতা বনি

Spread the love

দুবেলা, ঋত্বিকা ঘোষ : ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। ইডি তাকে জেরা করলে উঠে আসে অভিনেতা বনী সেনগুপ্তের নাম। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন তরুণ অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। নিজের ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেতা সতীশ কৌশিক

শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কুন্তল ঘোষকে। তারই ব্যাংকের নথিতে পাওয়া যায় অভিনেতা বনী সেনগুপ্তের নাম।সেই কারণে এদিন ইডির দরবারে হাজির হতে হয় বনিকে। এ বিষয়ে এক চরম সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবক্ষয় হয়েছে বলে মনে করছেন ঋদ্ধি সেন। এটিকে তিনি লোভ এবং লালসার এক চরমতর বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছেন। তাঁর মতে সমস্ত জেনেশুনেই টাকা নিয়েছেন বনি। তিনি জানতেন কালো টাকা। তবুও একটি ছবির বিন্দু বিসর্গ না জেনে টাকা নিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র ছবির নাম জেনে কি টাকা নেওয়া যায়? কালো টাকা আছে জানে বলেই ব্যাংক মারফত টাকা না নিয়ে তিনি সম্পূর্ণ টাকা ক্যাশে নিয়েছেন।তার মতে ছবির পারিশ্রমিক নেওয়ার ও কিছু আইনি ধাপ আছে। একটি ছবির সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজানা থাকা সত্ত্বেও কি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ নেওয়া যায় এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ বনধ রুখতে কড়া নির্দেশিকা রাজ্য সরকারের

ঋদ্ধি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন যে,”সাক্ষাৎকারে গম্ভীর / উদ্বিগ্ন মুখে বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ, পাশে দাঁড়ানো, সিঙ্গেল স্ক্রিনকে ফিরিয়ে আনার গুরু দায়িত্ব নিয়ে বাণী দেবেন, দর্শক শুনছেন l তাদের অভিনয় কেন ভালো লাগেনা সেই নিয়ে অভিমান করবেন, দর্শক শুনছেন l পরের পর একই গল্প নিয়ে ছবি করে যাচ্ছেন এবং মানতে চাইছেন না যে ছবিগুলো তারা বানাতে পারছেন না, তাই নিয়ে সাক্ষাৎকারে চোখ রাঙাচ্ছেন ,দর্শক শুনছেন l তার পর হঠাৎ একদিন বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ বর্তমানে ED’র দরবারে প্রবেশ পেলেন , এইবার দর্শক অবশেষে দেখছেন l”

আরও পড়ুনঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝিলে ডুবে মৃত্যু প্রাক্তন ছাত্রের

মূলত আদর্শ এবং নীতি বলে কিছুই নেই এমনই মনে করছেন ঋদ্ধি।সংবাদ মাধ্যমের কাছে ঋদ্ধি বলেছেন, “গত দু’বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি সম্মান অনেকটাই ধুলোয় লুটিয়ে গেছে। আরো কতটা অসম্মানিত করা হবে ইন্ডাস্ট্রিকে জানিনা। আগে মানুষ লোভ প্রকাশ করতে লজ্জা পেতো। এখন গলা উঁচু করে বলে।”

আরও পড়ুনঃ সিঙ্গাপুরে ৫জন নারীর উপর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল ভারতীয় যুবকের বিরুদ্ধে

এছাড়াও তিনি নির্বাচনের সময়ের কথাও তুলে ধরেছেন, তিনি পরিষ্কার বললেন, ” ২০২১ এর নির্বাচনের সময় বহু মানুষকে দল বদল করতে দেখেছি।আবার সেই দলই হেরে যাচ্ছে দেখে দলবদল করতেও দেখা গেছে।একটা সময় যেই দলের নামে কুৎসা করা হত, হাসতে হাসতে সেই দলে আবার ফিরে যেটা দেখা গেছে। সেই দল ফিরিয়েও নিয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায় মানুষ কতটা সুবিধাবাদী। ” পাশাপাশি তিনি বললেন বনি আগে বিজেপিতে যোগদান করেছিল। কিন্তু হাওয়া বদল হচ্ছে দেখেই বিজেপি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ঠিক দু মাস আগে তৃণমূলে যোগদান করে।এইরকম ভাবে চলতে থাকলে বাংলা সিনেমার ভবিষ্যতের সত্যি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এমনই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই ঘটনার জেড়ে থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে টলি পাড়া জুড়ে।

Related posts

Leave a Comment