পোষা প্রাণীদের অতিরিক্ত খাবার দেন, তাহলে সাবধান!

Spread the love

দুবেলা, স্বস্তিকা বিশ্বাস: পোষা প্রাণীর স্থূলতা আজকের দিনে একটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ৬১% বিড়াল এবং ৫৯% কুকুর অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্ত। এ প্রবণতা শুধু প্রাণীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে না, তাদের মালিকদের কাছেও এক বড় দায়িত্ব হয়ে উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, কোথায় ভুল করছেন মানুষ? কেনই বা দিনদিন তাদের প্রিয় পোষ্যরা অসুস্থতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে?

প্রথমত, অধিকাংশ পোষ্য মালিক নিজের অজান্তেই অতিরিক্ত খাওয়ানোর প্রবণতা তৈরি করেছেন। অনেকে পোষ্যকে ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে ঘনঘন খাবার দেন কিংবা টেবিলের খাবার ভাগ করে দেন। এতে তাদের দৈনন্দিন ক্যালোরির মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, যা স্থূলতার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসও পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে। বাজারচলতি অনেক পোষ্য খাদ্যে উচ্চ মাত্রার চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা দ্রুত ওজন বাড়িয়ে তোলে।

দ্বিতীয়ত, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে মালিকরা অনেক সময় তাদের পোষ্যদের যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম করানোর সুযোগ পান না। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা খেলাধুলার অভাবে কুকুর বা বিড়ালদের শরীর স্থবির হয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে। পাশাপাশি পোষ্যদের মানসিক চাহিদার দিকেও অনেক সময় মনোযোগ দেওয়া হয় না। অনেকে অপরাধবোধ থেকে বা পোষ্যকে খুশি রাখতে অতিরিক্ত ট্রিট বা খাবার দিয়ে দেন, যা অজান্তেই স্থূলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

এই সমস্যার সমাধানে প্রথমেই সচেতনতা জরুরি। প্রতিদিন পোষ্যদের নির্দিষ্ট সময় ধরে ব্যায়াম করাতে হবে। কুকুরদের জন্য নিয়মিত হাঁটাহাঁটি এবং বিড়ালদের জন্য খেলাধুলার সুযোগ করে দিতে হবে। খাদ্য নির্বাচনেও সতর্ক হতে হবে। পোষ্যদের জন্য বয়স, ওজন এবং প্রজাতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট মাত্রায় পুষ্টিকর খাদ্য নির্বাচন করা উচিত। অতিরিক্ত ট্রিট বা অনিয়ন্ত্রিত খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা দরকার। নিয়মিত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন পর্যবেক্ষণ করাও অপরিহার্য।

Related posts

Leave a Comment