দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস: আবেগ বিস্ফোরণের সাক্ষী থাকলো ডি ওয়াই পাতিলের স্টেডিয়াম। উত্তেজনা, আর গর্বের মেলবন্ধনে ভেসে গেল গোটা ভারত। ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়াম হয়ে রইল ঐতিহাসিক এক রাতের সাক্ষী। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী ভারতের জয়ের ছড়িয়ে পড়লো সর্বত্র। ক্রিকেট ইতিহাসে আরও এক স্বর্ণাক্ষরে লেখা অধ্যায় ভারতের নারীশক্তি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
শেষ বল পড়তেই টান টান উত্তেজনা যেন আগ্নেয়গিরির মতো ফেটে পড়ল ভারতীয় ডাগআউট। কেউ একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে কাঁদছেন, কেউ আবার পতাকা জড়িয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছেন। ডাগআউট থেকে গ্যালারি— সবখানেই আবেগের ঢেউ। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারি, গুজরাট থেকে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ— একসঙ্গে গর্জে উঠল ১৪০ কোটির দেশ।
চোয়ালচাপা লড়াই, শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্ত প্রতিটি ওভারে জমে উঠেছিল ফাইনালের লড়াই। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত হার মানল ভারতের কাছে। প্রতিপক্ষের বোলারদের নিখুঁত মোকাবিলা, মাঠে অসাধারণ ফিল্ডিং, আর অধিনায়কের শান্ত নেতৃত্ব— সব মিলিয়ে গড়ে উঠল এক অনবদ্য জয়। দু’ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। ১৮তম ওভারে শতরানের গণ্ডি পেরোয় ভারত। এরপর স্মৃতি ফেরেন প্যাভিলিয়নে, তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান শেফালি। শতরানের কাছাকাছি গিয়ে আউট হলেও রোহতকের কন্যার লড়াই দর্শকদের মন জয় করে নেয়। হরমনপ্রীত ও জেমাইমা দ্রুত আউট হলেও, ইনিংসের ভার সামলান দীপ্তি শর্মা। শেষদিকে রিচা ঘোষের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে ভারতের রান থামে ২৯৮-এ। রানতাড়ায় নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ভরসা ছিলেন লরা উলভার্ট। তাঁর দুর্দান্ত সেঞ্চুরি (১০১) ম্যাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনে।
তবে দীপ্তি শর্মার ঘূর্ণিতে বদলে যায় ছবিটাএকাই তুলে নেন ৫ উইকেট। শেফালির সহায়তায় ভেঙে পড়ে প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইন। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ২৪৬ রানে। ৫২ রানের জয় এনে ভারতের মেয়েরা লিখে দিলেন ইতিহাস। এক দশকের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এই জয় শুধু ক্রিকেট নয়, গোটা জাতির আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠল। কোটি কোটি সমর্থকের মুখে একস্বর “ভারত বিশ্বজয়ী”।

প্রতিমুহূর্তের খবর পেতে লাইক করুণ II দুবেলা নিউজ
