ভিন রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থা নিয়ে সরব অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন

Spread the love

দুবেলা, পুজা বসুঃ বেশ কয়েকদিন ধরেই ভিন রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থা হতে হচ্ছে এমন খবর দেখা যাচ্ছে বারংবার। কোথাও বাংলা বলায় বাংলাদেশী আখ্যা দেওয়া হয়েছে আবার কোথাও তুলে নিয়ে গিয়ে করা হয়েছে মারধর। রেহাই পাইনি প্রবীণ থেকে শিশু কেউই। বেশ কয়েকদিন আগে এর প্রতিবাদে বোলপুরে পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হলেন বর্ষীয়ান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।

আজ শান্তিনিকেতনের নিজের বাড়ি ‘ প্রতীচী ‘ তে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন কন্যা নন্দনা দেব সেন। মহকুমাশাসক আয়ন সেন ও বোলপুরের এম ডি পি রিকি আগরওয়াল তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। আপাতত ১৯ আগস্ট পর্যন্ত তিনি শান্তিনিকেতনেই থাকবেন। এদিন তাকে বাঙালি হেনস্থার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ” শুধু বাঙালি নয়, ভারতবর্ষ একটি মুক্ত দেশ, এখানে কোনো অঞ্চলের লোক অন্য জায়গায় গিয়ে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন, এতে আপত্তির কারণ থাকবে। সে বাঙালি হোক বা পাঞ্জাবি হোক , আপত্তি করার কারণ থাকবে। প্রথম কথা হলো সব মানুষকে সম্মান করা উচিৎ।

বিশেষত, স্বদেশী মানুষদের যে অধিকার আছে তাদের মুল্য স্বীকার করতেই হবে। দুটোই প্রয়োজন আছে । তার উপর বাঙালিদের ওপর যদি অত্যাচার হয়, অবহেলা করা হয়, আমাদের আপত্তি করার কারণ থাকবে। যে কোন ভারতীয় , একজন যদি ওড়িশায় থেকে গিয়ে রাজস্থানে অবহেলিত হলেন অত্যাচারিত হলেন , তা নিয়েও আমাদের আপত্তির কারণ থাকবে। এটা আলোচনার বিষয় নয়, এটা আমাদের সংবিধানে প্রথম থেকেই বলা আছে।”
তিনি আরো বলেন , ” বাংলা ভাষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

প্রাচীন শতাব্দি থেকে চর্যাপদ দিয়ে যে ভাষার জন্ম হলো, সেই ভাষার মুল্য স্বীকার করতেই হবে। তার মধ্যে নানা কাব্য হল, লেখা হলো , তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ওদের বক্তব্য আমাদের সামনে খুব স্পষ্ট ভাবে ধরা হল। এগুলোর মুল্য আমাদের দিতেই হবে।” তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেও তিনি আশার আলো খুঁজে নিতে চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ” যারা যে ভাষায় কথা বলেন তারা সেই ভাষাই কথা বলার সুযোগ পাবেন। তাদের বক্তব্য নিয়ে ঝগড়া করার প্রয়োজন হবে না , এটাই আমাদের আশা।”

Related posts

Leave a Comment