দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস: বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলাদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য “লরকি বহিন “প্রকল্প চালু করা হয়েছে। আর এই প্রকল্পে বড়সড়ো কেলেঙ্কারি মহারাষ্ট্রে। মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের আগেই লক্ষীর ভান্ডারের ধাচে মহারাষ্ট্র সরকার পরিচালিত ‘লড়কি বহিন’ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল।প্রকল্পের আওতায় যেখানে রাজ্যের আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া ২১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে প্রতি মাসে ১,৫০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে, সেখানে দেখা গেল প্রকৃত উপভোক্তা নন বরং অন্তত ১৪ হাজার পুরুষের অ্যাকাউন্টেও জমা পড়েছে সরকারি অর্থ।
প্রশাসনিক সূত্র অনুযায়ী, এই প্রকল্পের ডিজিটাল যাচাইকরণ চলাকালীন সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। উপভোক্তার নাম মহিলা হলেও, আধার বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর যাচাই করে দেখা গেছে অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলি পুরুষদের সঙ্গে যুক্ত। প্রশাসনের দাবি, এই অনিয়মের পেছনে জাল আধার বা ভুয়ো নথিপত্র জমা দেওয়ার একটি চক্র কাজ করছে।
গত একমাস আগেই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। এবং এর মধ্যেই এত বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় সরকার বিপাকে পড়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের জবাবদিহির মুখে পড়তে হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় বিরোধীদের অভিযোগ, এই প্রকল্পের আড়ালে শাসকদলের কিছু অংশ সুবিধাভোগীদের তালিকায় অনিয়ম করে নিজেদের অনুগামীদের নাম ঢুকিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করছে। কংগ্রেস ও এনসিপি নেতারা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর মহারাষ্ট্র উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, ‘‘ভুল করে যাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে, তা ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে জাল নথি জমা দিয়ে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তবে প্রশ্ন থেকে যায় নারীকল্যাণের প্রকল্পে এভাবে পুরুষের নামে টাকা চলে যাওয়া কেবল প্রযুক্তিগত ত্রুটি, না কি এর পেছনে রয়েছে বৃহৎ ষড়যন্ত্র? এ ঘটনায় ইতিমধ্যে গোটা দেশে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

প্রতিমুহূর্তের খবর পেতে লাইক করুণ II দুবেলা নিউজ