দুবেলা নিউজডেস্কঃ কথায় আছে, ‘যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে’, আবার বলা যায় সে সুরও বাঁধেন। তিনি হলে শ্রীমতী মায়া চক্রবর্তী। তাঁরই দীর্ঘ চার দশকের ঐতিহ্য, নিষ্ঠা ও নিঃস্বার্থ সুরসাধনার সাক্ষী ‘গীতলেখা’। গীতবিতান থেকে ‘গীতভারতী’ ডিপ্লোমা লাভ করেন ১৯৮৫ সালে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে মিউজিকে এম এ পাস করেন ১৯৮৬ সালে। তার আগেই ১৯৮৫ সালে বেহালায় ‘গীতলেখা’-র জন্ম হয়। আজ থেকে ৪০ বছর আগে, ১৯৮৫ সালে, বেহালার বুকে জন্ম নেয় এই সংগীত প্রতিষ্ঠানটি রবীন্দ্রসংগীতপ্রেমী শ্রীমতী মায়া চক্রবর্তীর হাত ধরে। তার হাত ধরে যে আলোকযাত্রা শুরু করেছিল ‘গীতলেখা’, তা আজও অম্লান।
আরও পড়ুনঃ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের উত্তেজনার মাঝে ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
পঁচিশে বৈশাখ — কবিগুরুর জন্মদিনে, শিবপুরের ‘গীতলেখা’ চত্বরে যেন গান, কবিতা, নাচ আর আবেগের এক অনির্বচনীয় মিলন ঘটল। চল্লিশ বছরে পদার্পন উপলক্ষে সংস্থার অধ্যক্ষ ও কর্ণধার শ্রীমতী মায়া চক্রবর্তী তাঁর ছাত্রছাত্রীদের হাতে রবি ঠাকুরের জন্মদিনে স্মারক মেডেল তুলে দিয়ে তাঁদের অনুপ্রাণিত করেন। এই মেডেল যেন শুধু একটি ধাতব টুকরো নয়, বরং গুরুর স্নেহ, আস্থা ও আশীর্বাদের প্রতীক।

অনুষ্ঠানে ছিল গানের ছন্দে, কবিতার ছত্রে, নৃত্যের রেখায় ‘গীতলেখা’র পথচলার অনন্য চিত্রায়ণ। বিশেষ চমক হিসেবে ছিল গুরু ও শিষ্যের যুগলবন্দী পরিবেশনা, যা সবার মন ছুঁয়ে যায়। এই সন্ধ্যার সুরেলা মুহূর্তগুলি অনলাইনে সিডি আকারে প্রকাশ পাবে এমনটাই জানিয়েছেন শ্রীমতী মায়া চক্রবর্তী। যা ‘গীতলেখা’র ইতিহাসের এক অমূল্য দলিল হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুনঃ ভারতের প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান দিশেহারা
শিক্ষার্থীদের কাছে এই দিনটি শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং তাঁদের সংগীত জীবনের এক গৌরবময় অধ্যায়। ‘গীতভারতী’ ডিপ্লোমাধারী ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী শ্রীমতী মায়া চক্রবর্তীর নিরলস পরিশ্রম, ধৈর্য এবং সংগীত নিষ্ঠাই আজ ‘গীতলেখা’কে গড়ে তুলেছে এক জীবন্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে।
চল্লিশ বছরের পথ চলার শেষে নয়, নতুন যাত্রার শুরুতেই যেন দাঁড়িয়ে ‘গীতলেখা’। শিষ্যদের মুখে উচ্চারিত একটাই প্রত্যয় — “গীতলেখা এগিয়ে চলুক রবির আলোয়, গুরুর হাত ধরে।”