দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) পরীক্ষার মাধ্যমে প্যানেল নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। আদালত উল্লেখ করেছেন যে মূল OMR শীট এবং উত্তপত্রের অভাবের কারণে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। এই রায়ের ফলে চাকরি হারিয়েছেন দেবীনগর কৈলাসচন্দ্র রাধারাণী বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা কৃষ্ণমৃত্তিকা নাথ। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে রাজ্যপালের কাছ থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃচাকরি বাতিলের প্রভাব একাধিক স্কুলে, প্রশ্নের মুখে পঠনপাঠন!
কৃষ্ণমৃত্তিকা নাথ বলেন, “২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি, ২০১৮ সালে যোগদান করেছি। প্রথম কাউন্সেলিংয়ে চাকরি পেয়েছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের টপার, ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। রাজ্যপালের কাছ থেকে স্বর্ণপদক নিয়েছি। তারপরেও যদি আমায় প্রমাণ করতে হয় আমি যোগ্য, কী অযোগ্য… আমার কিছু বলার নেই।”তিনি আরও জানান, তার বাবা-মা তার উপর নির্ভরশীল, এবং এই চাকরি হারানোর ফলে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শুধুমাত্র ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি বহাল রাখা হয়েছে; বাকিদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃনিউটাউনে টোটো চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু
এই রায়ের ফলে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বড়সড় প্রভাব পড়েছে, শুধুমাত্র কৃষমৃত্তিকা নন এরকম আরও বহু শিক্ষক শিক্ষিকারা দাবি তুলছেন, যোগ্য হয়েও তারা ভুক্তভোগী এই দুর্নীতিতে। এমনকি রাস্তায় শুয়েও মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে। কি হবে এর পর তাদের ভবিষ্যৎ তা নিতে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকারা।